,

লিগ্যাল নোটিশ

প্রাপক: (১) মোঃ মহিবুর রহমান (২) মোঃ আকিবুর রহমান, সর্ব পিতা- আতিক উল্লা, সাং-বানিউন, পোঃ ইনাতগঞ্জ, থানা, নবীগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ, দৈনিক মানবকন্ঠ (অনলাইন পত্রিকা) নবীগঞ্জ প্রতিনিধি। (৩) হারুন-আল-রশিদ চৌধুরী, প্রধান সম্পাদক, দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকা। (৪) ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকা। (৫) মোঃ আবু ইউসুফ, যুগ্ম সম্পাদক দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকা। (৬) এম, এ আহমেদ আজাদ, নির্বাহী সম্পাদক দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকা। (৭) হাবিবুর রহমান চৌধুরী শামীম, বার্তা বিভাগ, ইনচার্জ, দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকা। (৮) জসিম উদ্দিন, বার্তা সম্পাদক, দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকা, সর্ব সাং এম.সি.সি অফসেট প্রেস, শেরপুর রোড নবীগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ। ——————————————————-নোটিশগ্রহীতা।
প্রেরক: বজলুর রশিদ, পিতা-হাজী মোঃ হিরা মিয়া, সাং ও পোঃ ঘোলডুবা, থানা-নবীগঞ্জ, জেলা-হবিগঞ্জ। চেয়ারম্যান ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউপি, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ। পক্ষে ঃ মোঃ আফতাব উদ্দিন, এডভোকেট সাবেক সভাপতি, জেলা আইনজীবি সমিতি, হবিগঞ্জ ও সাবেক জি.পি. জজ কোর্ট, হবিগঞ্জ ——————————————————————————-নোটিশদাতা।
আমার মোয়াক্কেল নবীগঞ্জ থানার ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউ’পির নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তাহার পক্ষে ও পরামর্শে আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী আপনারা নোটিশগ্রহীতাগনকে নিযুক্ত মর্মে উকিল নোটিশ প্রদান করিতেছি, (১) আমার মোয়াক্কেল ঘোলডুবা গ্রামের স্বনামধন্য সালিশ বিচারক হাজী
হিরা মিয়া সাহেবের পুত্র। আমার মোয়াক্কেলের চাচা রাফি ওরফে কণা মিয়া নবীগঞ্জ থানার মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার ছিলেন। আমার মোয়াক্কেলের আপন বড় ভাই জনাব হারুনুর রশিদ জেলা ও দায়রা জজ ছিলেন। কিছুদিন পুর্বে তিনি মারা গিয়াছেন। অন্য এক ভাই ব্যারিষ্টার মিজানুর রশিদ লন্ডনে আছে। অপর এক ভাই এডভোকেট মামুনুর রশিদ লন্ডনে সলিসিটর হিসাবে দায়িত্বপালন করিতেছেন। আমার মোয়াক্কেলের আপন বোন জ্যোৎস্না ইসলাম, সিলেট জেলা  বার সমিতিতে একজন সিনিয়র  আইনজীবি। আমার মোয়াক্কেল ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হইয়া অত্যন্ত সুনামের  সহিত দায়িত্বপালন করিয়া আসিতেছেন এবং এলাকার দুস্ত ও মেহনতি মানুষের সাথে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করিয়া ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউপি এলাকা ও এলাকার বাহিরের জনগণের কল্যাণসাধন করিয়া আসিতেছেন। আমার মোয়াক্কেলের ব্যক্তিগত সুনাম পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রতি ঈর্ষান্বিত হইয়া আমার মোয়াক্কেলকে জনসম্মুখে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আপনি ১/২নং নোটিশগ্রহীতা দৈনিক মানবকন্ঠ (অনলাইন পত্রিকা) পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে  অন্যান্য নোটিশগ্রহীতাগণ দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকার বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত থাকায় সকলে একজোট হইয়া বিগত ১২ ই মে, ২০১৮ ইং তারিখে দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকায় আমার মোয়াক্কেল জনাব বজলুর রশিদ সম্পর্কে কুরুচিসম্পন্ন, মানহানিকর ভিত্তিহীন খবর পরিদর্শন করেন, সবকটি নি¤œরুপ ঃ “ইনাতগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী বাঁধ নির্মানে তিন লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদে ইউনিয়নবাসীসহ সারা উপজেলা/জেলায় এ নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা হয়। অত্র মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখিত সংবাদ প্রসঙ্গে পত্রিকার সম্পাদক প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ  করিলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। বরং আমার মোয়াক্কেল দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকার উল্লেখিত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে লিখিত প্রতিবাদ দিতে চাহিলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিবাদ  প্রকাশ করা হয় নাই। পরিশেষে নিরূপায় হইয়া বিগত ১৩/০৫/২০১৮ইং তারিখে দৈনিক প্রতিদিনের বানী, দৈনিক সমাচার, দৈনিক হবিগঞ্জের এক্্রপ্রেস পত্রিকার ১ম পৃষ্টায় প্রতিবাদ প্রকাশ হয়। দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকার বিগত ১০/০৫/২০১৮ ইং তারিখে দৈনিক মানবকন্ঠ (অনলাইন পত্রিকা) পত্রিকায় “রক্ষক যখন ভক্ষক” শিরোনামে এবং বিগত ১২/০৫/২০১৮ ই তারিখে আমার মোয়াক্কেলের বিরুদ্ধে যে সংবাদটি পরিবেশন করা হইয়াছে এবং দৈনিক মানবকন্ঠ (অনলাইন পত্রিকায়) বিগত ১০/০৫/২০১৮ ই তারিখে রক্ষক যখন ভক্ষক শিরোনামে যে সংবাদ প্রচারিত হইয়াছে তাহা ভিত্তিহীন এবং আগাগোড়া মিথ্যা। তাহার কোন সত্যতা নাইা। আমার মোয়াক্কেলকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যেই পত্রিকার উপরোক্ত খবরটি প্রকাশ করা হইয়াছে। উপরোক্ত খবর পরিবেশনের প্রেক্ষিতে কোন সৎ উদ্দেশ্য ছিল না বা থাকিতে পারে না। (২) পত্রিকায় প্রকাশিত উপরোক্ত খবরটির  কারণে আমার মোয়াক্কেল এবং তাহার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি নানা অমূলক, ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্ঠি হইয়াছে এবং আমার মোয়াক্কেল শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ অনুভব করিতেছেন। যাহার দরুণ আমার মোয়াক্কেলকে বিশেষভাবে ডাক্তারগণের চিকিৎসাধীন হইতেছেন এবং নানাভাবে মানহানি হইতেছেন। ফলতঃ আমার মোয়াক্কেলের সামাজিকভাবে যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্থ হইয়াছেন,অর্থ দ্বারা তাহা পূরণ করার স্থল নহে। তজ্জন্য আপনারা নোটিশ গ্রহিতাগণ বিন্দুমাত্র অনুসূচনা করিতেছেন মর্মে কোন প্রমান পাওয়া যাইতেছে না। যাহার ফলে আমার মোয়াক্কেল যে মানহানি ঘটিয়াছে তাহার আপাততঃ দৃষ্টে কয়েক কোটি টাকা ধার্য করা যাইতে পারে। আমার মোয়াক্কেল তজ্জন্য মানহানির বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফৌজাদারী আদালতে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মোকদ্দমা দায়েরের প্রস্তুতি নিতেছেন। তাই অত্র নোটিশ দ্বারা আপনারা নোটিশগ্রহিতাগণকে জানানো যাইতেছে যে, যে যে পত্রিকায় আপনারা আমার মোয়াক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করিয়াছেন। অত্র নোটিশ পাওয়ার ১৫ (পনের)  দিনের মধ্যে ঐসব পত্রিকায় পুনরায় বর্ণনা দিয়া আমার মোয়াক্কেলের কাছে প্রকাশ্যে প্রার্থনা করিয়া দুঃখ প্রকাশ করিবেন, অন্যথায় আমার মোয়াক্কেলের মানহানির পরিমান আপাতত” ২০,০০,০০,০০০/= (বিশ কোটি) টাকা প্রদান করার এবং আপনারা আমার মোয়াক্কেলকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা গেল। অন্যথায় আমার মোয়াক্কেল আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হইবেন এবং তজ্জন্য সকল দায়-দায়িত্ব আপনাদেরকে বহন করিতে হইবে।
বিঃ দ্রঃ লিগ্যাল নোটিশের এক কপি ভবিষ্যত কার্যক্রম গ্রহনের জন্য আমার সেরেস্থায় রক্ষিত রহিল।
আপনার বিশ্বস্ত
মোঃ আফতাব উদ্দিন
এডভোকেট
জজ কোর্ট, হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর